মোঃ বজলুর রহমান, কক্সবাজারঃ
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার , সমুদ্র সৈকতে নিকটবর্তী কক্সবাজার জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র আলির জাহানে অবস্থিত “কক্সবাজার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনক ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
ডাক্তার হ্যানিম্যানের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়, কুইজ প্রতিযোগীতায় ১ম, ২য় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার কারীদের মাঝে অতিথিদের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ।
অত্র কলেজের ইন্টার্ণি ব্যাচের ছাত্র মোঃ শাহজাহানের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ,ডাক্তার ছমিদুল হক এর সভাপতিত্বে ডা.শামিমুল আরশাদ এর সঞ্চলনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান , আলহাজ্ব ডাক্তার সালেহ আহমদ সুলেমান, ডাক্তার নূরুল আমিন, সাবেক অধ্যক্ষ জাকের হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ চট্রগ্রাম, ডাক্তার আলহাজ্ব আবু সাঈদ, ডাক্তার ছুরত আলম বিহারী, ডাক্তার এম, হামিদুল্লাহ, ডাক্তার মৌলানা ফরিদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কলেজের প্রভাষক ও কো-অডিনেটর ডাক্তার খায়ের আহমদ।
তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন, অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং অত্র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাক্তার ক্রিস্টিয়ান ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, তিনি ১৭৫৫ সালে ১০ এপ্রিল জার্মানির স্যাঙ্নি রাজ্যের মিসেন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বে সাধারণত ১০ এপ্রিল তার জন্মদিবস পালিত হয়। তিনি ১৭৭৮ সালে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৭৯০ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার ও প্রচলন করেন। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান কুসংস্কারমুক্ত, প্রাকৃতিক নিয়মনীতিনির্ভর, আরোগ্যকারী ও বিজ্ঞানমুখী চিকিৎসায় উন্নীত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে শুচিত হয় নতুন যুগের। আর সে যুগের যুগস্রষ্টা হ্যানিম্যান। ১৭৯০ সালে ডা. উইলিয়াম ক্যালেনের মেটেরিয়া মেডিকা বইটি ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদের সময় তিনি এ বইটিতে দেখতে পান যে, সিংকোনা পাকস্থলীর ওপর টনিকের মতো কাজ করে। ম্যালেরিয়া ভালো করে। তিনি নিজের সুস্থ শরীরে গাছের ছালের রস সেবন করে শরীরে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন এর ফলে তিনি নিশ্চিত হন যে, কোনো ওষুধ সুস্থ দেহে যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা এর সদৃশ প্রাকৃতিক লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। তার আবিষ্কৃত এই সদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতিকে তিনি ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে হোমিওপ্যাথি নাম দেন। বর্তমান এজগতের এক মহান ব্যাক্তি নোবেল বিজয়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানী জর্শ ভিটেলিকাস তার গবেষণা পদার্থ বিজ্ঞানীরা সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন, ঔষধের অনুবটিকা সূক্ষ হতে সূক্ষতম মানব দেহে কিভাবে প্রবেশ করিয়ে রোগীকে আরোগ্য করে তা জর্জ ভিটেলিকাস প্রমান করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের বর্তমান হ্যানিম্যান। তিনি আরো বলেন,হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা ডা. হ্যানিম্যানের নির্দেশিত পথে আরও বেশি নিবেদিত হয়ে রোগীকে আদর্শ আরোগ্য করাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পরিশেষে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply