“হযরত শাহ্ জালাল (রহঃ)”
রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব)
ইসলাম প্রচারে হিযরত করলেন
শাহ্ জালাল ইয়েমেনী
তিনশত ষাটজন ওলী ছিল তাঁর সাথে
ইতিহাসে তা জানি।
দিল্লীতে গেলেন যখন তিনি
খাজা নিজাম উদ্দিনের দরবারে
দাওয়াত কবুলে খাজা তাঁকে
একজোড়া কবুতর দান করে।
‘মানত’ করেছিল বোরহান উদ্দিন
পুত্র সন্তান জন্ম নিলে
কুরবানী করবেন একটি গরু
এই ছিল তার দীলে।
বোরহান উদ্দিনের গরুর
এক টুকরা মাংস নিল চিলে
রাজা গৌর গোবিন্দের বাড়ির
গেটে তা দিল ফেলে।
গৌর গোবিন্দ তখন বাংলায়
গরু কুরবানী নিষেধ ছলে
বোরহানের শিশু পুত্রকে
নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে।
বোরহান উদ্দিন দিল্লীর সুলতানের নিকট
অভিযোগ দিলে
খাজা ইলিয়াস শাহের পুত্র
সিকান্দার শাহ্ যুদ্ধে গেল চলে।
সেনাপতি নাসির উদ্দিনও
সেই যুদ্ধে যোগ দিলে
শাহ্ জালালের নিকট থেকে
জয়ের পরামর্শ মিলে।
গৌর গোবিন্দের চক্রান্ত তাঁকে
করতে পারেনি রোধন
সকলে জায়নামাজে ভর করে
সুরমা নদী পার হন।
টেকের ঘাটে ঠেকলো তাদের
জায়নামাজের তরী
গৌর গোবিন্দ বুঝে গেল
পরাজয়ের আর নয় দেরী।
আত্মসমর্পণ করে গৌর গোবিন্দ
করল ছলচাতুরি
প্রাণের ভয়ে পলায়ন করল
ছাড়ল রাজ বাড়ি।
সিকান্দার শাহের হাতে দিলেন
রাজ্য শাসনের ভার
হযরত শাহ্ জালাল(রহঃ) করলেন
শুধুই ধর্ম প্রচার।
বাংলাদেশের সিলেট জেলায়
শায়িত আছেন তিনি
লাখো ভক্ত জিয়ারতে আসে
তাঁহার মাজারখানি।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ,মোজাদ্দেদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
Leave a Reply