৮ মে ২০২৪ইং, বুধবার, বাদে মাগরিব হতে আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদিস, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, সৈয়্যদুনা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারী (রহ), হযরত খাজা ওসমান হারুনী (রহ), মুফতি আমিমুল ইহসান বারকাতী (রহ.) ও মুফতি সাহেব হুজুরের আম্মাজান সৈয়দা সাখিনা বেগমও সহধর্মিণী মরহুমা আলহাজ্বা সৈয়দা জাহানারা বেগমের মাসিক ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে ওরসে ইমাম বুখারী রহঃ সম্পন্ন হয়েছে।
এই উপলক্ষে বাদ আসর হতে পবিত্র খতমে কুরআন মজিদ, বাদ মাগরিব হতে খতমে গাউসিয়া শরিফ, বাদ এশা হতে ইমাম বুখারী রহঃ এর জীবনীর ওপর বয়ান-তকরির ও
আজিমুশ্শান মিলাদ মাহফিল জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ (সাবেক) মুফতি-এ আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী (মঃজিঃআঃ) এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বায়েজিদ শীতলঝর্ণা আ/এলাকাস্থ মসজিদ-এ রহমানিয়া গাউসিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহফিলের সভাপতি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন- ইসলাম ও হাদিস শাস্ত্রে ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলািহির অবদান অপরীসিম। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসা কিয়ামত পর্যন্ত অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এবং খাজায়ে খাজেগান হযরত খাজা ওসমান হারওয়ানী রাহঃ, ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদরাসার সাবেক হেড মাওলানা ও রাজধানী ঢাকা জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব ওস্তাজুল মুহাদ্দিসীন মুফতি আমিমুল ইহসান বারকাতী মুজাদ্দেদী রাহঃ এর ইলমী খেদমত ও ইসলামের প্রচার-প্রসারে তাঁদের ত্যাগ ও কুরবানী অবশ্যই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এতে তকরির পেশ করেন আল আমিন বারিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হযরত আল্লামা আব্দুল আজিজ আনোয়ারি, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা চট্টগ্রামের সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান আলকাদেরী, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মনির উদ্দিন কাদেরী, আযহারী সাইবার টীম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, মাদরাসা-এ রহমানিয়া গাউসিয়ার মহাপরিচালক ও গাউসুল আজম রেলওয়ে জামে মসজিদে খতিব
হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আজহারী, হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান হোসাইন কাদেরী প্রমুখ।
বক্তাগণ -সৈয়্যদুনা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারী রাহঃ, খাজায়ে খাজেগান হযরত খাজা ওসমান হারওয়ানী রাহঃ, ওস্তাজুল মুহাদ্দিসীন মুফতি আমিমুল ইহসান বারকাতী মুজাদ্দেদী রহঃ এর চরিত্র, আদর্শ অনুসরণের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদের প্রতি আহবান জানান। মিলাদ-কিয়াম দোয়া - মুনাজাত শেষে মুসল্লীগণ তাবারুক গ্রহন করেন।
পরিশেষে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদের কল্যাণ ও মুক্তি কামনায় দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী (মু,জি,আ)।