মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই প্রতিনিধিঃ
বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিড’দের দাপট তুঙ্গে। বিগত দিনে যারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তারাই এখন বিএনপির ‘হর্তাকর্তা’। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। অথচ তারাই এখন দখল, টেন্ডার ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে, হাইব্রিড’দের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর ওপর দায় চাপানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলটির ত্যাগী এবং দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা বিব্রত এবং এক রকমের কোণঠাসা।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিরসরাই উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক নুরুল আলম মেম্বার এবং সুপরিচিত ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফকির এর সম্পর্কে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি কোনো সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং এটি একটি নিন্দনীয় অপপ্রয়াস, যার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান
একজন সৎ ও দক্ষ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নুর আলম মেম্বার ও জাহাঙ্গীর আলম ফকির, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ব্যবসায়ী হিসেবেও তিনি সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দেখে কিছু মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এসব কথার কি কোনো সত্যতা আছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছেন, তারা কি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারবেন। যদি না পারেন, তবে দয়া করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচার থেকে বিরত থাকুন।
এবিষয়ে ফকির আহমদ জানতে চাইলে তিনি বলেন।
মিথ্যা অপপ্রচারের পরিণতি
জনপ্রিয় ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটে।
সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক শালীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়।
আইনি জটিলতার শিকার হতে পারেন অপপ্রচারকারীরা।
তিনি আরও বলেন
সকলের প্রতি আহ্বান
গুজবে কান দেবেন না, তথ্য যাচাই করুন, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক যুক্তির, মিথ্যার নয়।
সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখুন।
রাজনীতি মতাদর্শের পার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সেটি কখনোই ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা মিথ্যা প্রচারের পর্যায়ে যাওয়া উচিত নয়। আসুন, আমরা সকলেই দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সত্যের পক্ষে দাঁড়াই এবং গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।
সতর্ক থাকুন, গুজব প্রতিরোধ করুন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এবং বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের সংগঠনের সমালোচনায় নৈতিক ভাবে পরাজিত হয়ে, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও জানা যায় ফেসবুকে ভাইরাল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মিরসরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের। সভাপতির ইমেজ এবং সংগঠনের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে।
এসকল অপপ্রচার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইমেজ এবং কার্যক্রম ব্যহত করা যাবে না, ইনশাহআল্লাহ।
যদিও হাইব্রিডদের বিষয়ে পটপরিবর্তনের শুরু থেকেই কঠোর বিএনপি হাইকমান্ড। এখন থেকে আরও কঠোর হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে নির্দেশনা দিয়ে হাইব্রিডদের দলে জায়গা না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। যাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে তদন্ত করে প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করেছে। কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত ৭ মাসে বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ২শ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপিই ১ হাজার ৮শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ, ৮০০ জনকে বহিষ্কার, ৫০ জনের পদ স্থগিত, অন্তত ১০০ জনকে সতর্ক এবং ১৫০ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও এ পর্যন্ত ৪০০ জনকে বহিষ্কার ও ৬০০-এর অধিক নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে। অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১০০ জনকে বহিষ্কার ও ১৫০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যুবদলেরও শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। যা সারা দেশে প্রশংসা পেয়েছে। পটপরিবর্তনের পর ১১ আগস্ট দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ স্থগিত করার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়। হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে সর্বশেষ ৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়। সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করে কোথাও দখল বাণিজ্যের কোনোরূপ ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়া মাত্রই অপরাধীকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আটক করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জানানোর জন্য সচেতন জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
তৃণমূল নেতাদের কাছে জানতে চাইল বলেন, হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। এরই মধ্যে দল থেকে নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। দলে যোগদান অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অনেকে অনেক অপকর্ম করছেন। যাদের সঙ্গে বিএনপির ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব বিষয়ে তারা যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। বিএনপির দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরিশ্রম করেছেন-দল তাদের মূল্যায়ন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন
Leave a Reply