1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জনশক্তি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি,(বিকেটিটিসি,) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাহী কমিটির, কমিটি গঠন সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা। প্রতিম‌ন্ত্রির মর্যাদা পে‌লেন ডাঃ শাহাদাত হো‌সেন। বোয়ালখালীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেল স্কুলছাত্র পুটি মাছ কাটা নিয়ে বিবাদ, স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর: এলাকায় শোকের ছায়া নির্বাচন কমিশনের সাথে চিটাগং এক্স শাহীন এসোসিয়েশন (চেসা) নেতৃবৃন্দের সভা বিলুপ্তপ্রায় মুখপোড়া হনুমানকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় উদ্ধার চট্টগ্রামে নালায় নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল ১৪ ঘণ্টা পর নিউজ গার্ডেন এর সম্পাদক কামরুল হুদার শাশুড়ির মৃত্যুতে, সাংবাদিক মহলের শোক বোয়ালখালীতে পিচ্ছিল সড়কে দুই টেম্পুর মুখোমুখি সংঘর্ষ, দম্পতি আহত

সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা।

  • সময় রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ পঠিত

মোঃ কায়সার, চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ এপ্রিল (রবিবার) দুপুর ১২ টায় এক মতবিনিময় সভা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, কামরুল হুদা, কোতোয়ালী থানা জামায়য়াতের সেক্রেটারী, মোস্তাক আহমদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক, আবু তালেব চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ

জাহিদুল করিম কচি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচারীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, যেন ফ্যাসিস্টরা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তিনি দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শাহজাহান চৌধুরী বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন জাতী আপনাদেরকে চিরদিন কৃতজ্ঞতা চিত্তে মনে রাখবে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা ঐ প্রতিষ্ঠানে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আমাদের সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।

আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার লক্ষ্যে ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখেছিল তারা ক্ষমতায় থাকবে।

কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরলস পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা গত জুলাই আগস্টে ১ দফার দাবিতে গণআন্দোলনে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মিডিয়া জগৎ নষ্ট হয়ে গেছে। সাংবাদিকরা প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে পারেননি।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় শুধু গুম খুন নয়, বিচার বিভাগকে রাবারস্ট্যাম্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়।

শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ ও দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য দলীয় ক্যাডারদের বিচারপতি বানিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তৈরি করে ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিচারের নামে প্রহসন শুরু করে। এসব আদালতে কোন নিয়ম শৃঙ্খলার বালাই ছিল না।

জোর করে অসত্য সাক্ষী প্রদান, বিরোধী সাক্ষীদের গুম, আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া, মামলা চলাকালে আইনের ভূতাপেক্ষা সংশোধন, রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যাপক চাপ ইত্যাদি দেশে বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে।

এসব দলীয় বিবেচনায় নিয়োজিত বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে পুনরায় নিয়োগ পেয়ে শেখ হাসিনার আকাঙ্খা পূরণের বিচার চালিয়ে যান।

এমনকি একজন প্রধান বিচারপতি তার সরকারের মতের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করায় তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় এবং শামসুদ্দীন চৌধুরী নামে একজন মানসিক অসংলগ্ন ব্যক্তিকে হাইকোর্ট ও পরবর্তীতে আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন।

তাছাড়া, উচ্চ আদালতে দলীয় ভাবাদর্শের খুনি ফৌজদারি অপরাধের আসামিকেও বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের মতো নিম্ন আদালতও সরকারের ইশরা ইঙ্গিতে বিচার পরিচালিত হয় এবং পুরো বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মানমর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন করা হয়।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মনুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সংবিধান থাকে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছিল। নির্বাচনব্যবস্থাকে এমন অবস্থা করছিল আওয়ামী লীগ কর্মীরাও ভোট দিতে গিয়ে দেখতো তাদের ভোট অন্য কেউ প্রয়োগ করেছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট