গত ৪ মাসের মধ্যে ২য় বারের মতো বৃদ্ধি করা হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম।রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে ভোজ্য তেলের ওপর আরোপিত সব ধরনের শুল্ক, কর ও ভ্যাট প্রত্যাহার করেছিল সরকার। একইসঙ্গে বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট নামিয়ে আনা হয় ৫ শতাংশে।ভোজ্য তেল আমদানিতে শূল্ক কর রেয়াতের সুবিধার মেয়াদ ৩১ মার্চে শেষ হয়েছে।এর আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) চিঠিতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়ানো প্রস্তাব করা হয়।এছাড়াও রমজানের মাঝামাঝিতে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে।
বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে খুচরা মূল্য ১৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছে পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৪৮ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৬৯ ডলার ও মার্চে কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫ ডলারে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত পাম তেলের টনপ্রতি দাম জানুয়ারিতে ছিল ১ হাজার ৭০ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৬৭ ডলার ও মার্চে ১ হাজার ৬৯ ডলার। অর্থাৎ পাম তেলের বাজারও স্থিতিশীল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০২৪ সালে ক্রুড পাম তেল ও ক্রুড় সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ১৭৬ টন। ২০২৩ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৩ টন। অর্থাৎ ২০২৪ সালে ২০২৩ সালের তুলনায় ৮১ হাজার ৫০৩ টন ভোজ্য তেল বেশি আমদানি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সাড়ে ৩ লাখ টনেরও বেশি সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। প্রতি মাসে সয়াবিন টলের চাহিদা ৮৭ হাজার টন।
স্থানীয় খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা যায় বাজারে বোতল জাত তেলের সরবরাহ কম,যার অন্যতম কারন দাম বৃদ্ধি পাবে সামনে।
পর্যাপ্ত আমদানি শুল্ক কর হার সুবিধা থাকাকালীন করা হয়েছে,আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে তেলের দাম কমেনি,তখন কি ব্যবসায়ীরা মুনাফা করিনি?,নানা ভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তেলের দাম বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক।
বারবার জনসাধারনকে জিম্মি করে তেলের দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা জানাই।
মন গড়া দাম নির্ধারন,হঠাৎ দাম বৃদ্ধি,কৃত্রিম সংকট,সকল অজুহাত বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী ভাইদের ভোজ্য তেল সহনীয় পর্যায়ে রাখার আহ্বায়ক