সংস্কার না হলে হুমকিতে পড়বে কয়েকশো পরিবার, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি
আনোয়ার হোছাইন,(নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধিঃ
গত বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নস্থ ৪ নং ওয়ার্ড করলিয়ামুরা এলাকার গর্জনিয়া ছড়ার গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধটি।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বেরিবাঁধটির কোনো অস্তিত্ব নেই, এবং বর্ষা আসার আগেই তা পুনর্নির্মাণ বা মেরামত না হলে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেরিবাঁধটি ভেঙে যাওয়ার ফলে যেকোনো সময় গর্জনিয়া ছড়ার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে আশপাশের শতাধিক পরিবার, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। ইতোমধ্যেই শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ না থাকায় কৃষিকাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোছাইন বলেন,
"গত বর্ষায় পানি এমনভাবে এসে বাঁধটা ভেঙে নেয় যে কিছুই করার সময় পাইনি। এবার যদি আগেভাগেই মেরামত না করা হয়, তাহলে ফসল তো যাবে, ঘরবাড়িও থাকবে না।"
একই এলাকার রোজিয়া বেগম বলেন,
"আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে চিন্তায় আছি। যেভাবে পানি উঠে, বাঁধ না থাকলে রক্ষা নেই। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, দ্রুত ব্যবস্থা নিক।"
স্থানীয় কৃষক ছৈয়দ আলম কারবারি বলেন, বেরিবাধটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে পানিতে তলিয়ে যায় আমন ধানের চারা ও জমিতে রোপনকরা ধান যা পরবর্তীতে ধানের থোড় আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা বলেন,
"প্রতিবছরই বর্ষায় আমরা আতঙ্কে থাকি। এবার যদি আগেভাগেই বেরিবাঁধ মেরামত করা না হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে। তাই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।"
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার ছাদেক'র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “গত বর্ষায় আকস্মিক বন্যার ফলে করলিয়ামুরা গর্জনিয়া ছড়ার পাশ দিয়ে নির্মিত বেরিবাঁধটি ভেঙে গিয়ে এলাকার জনগণের জানমাল ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয় জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেছি। বেরিবাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি অচিরেই কাজ শুরু হবে এবং এলাকাবাসী আগের মতোই নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।