কৃষিবিদ মোঃ আকবর হোসেন , যুক্তরাজ্যঃ
কিছু সংখ্যক ছাত্রদের দ্বারা তৈরি দল(NCP) , তাদের মতাদর্শের কিছু সংখ্যক লোকজন, বাংলাদেশকে আরো ৫০ বৎসর পিছিয়ে দিল, বৈষম্য বিরোধী এবং বিপ্লব পর্যন্ত একই প্লাটফর্মে থেকে সর্বস্তরের ছাত্ররা যেভাবে যুগোপথ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে সৈরাচার ও রাহুমুক্ত করেছিল , যেভাবে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটিয়েছিল , তার থেকে ,তারা যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে, তারা সমূলে দুর্নীতিকে উৎপাটন করার বিপরীতে
দুর্নীতিতে নিজেরাই নিমজ্জিত হন, এবং স্বৈরাচারের দোষদেরকে দুর্নীতিতে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে, নিজস্ব অর্থনীতিক সমৃদ্ধির পথে হাটে , এবং দুর্নীতিকে বাংলাদেশে নতুন ভাবে প্রতিস্থাপন করে, একেবারে সকল উপদেষ্টা না হলেও, মোস্ট অফ দা উপদেষ্টা, এবং তার পাশের সাংগোপাঙ্গরা, গভীরভাবে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, এবং পতিত সরকারের দোসরর এবং, স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতির এক রাহু গ্রাসে পরিণত করেছে বাংলাদেশকে !!!!
বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রতি যে ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়গুলোতে দুর্নীতির মূল উৎপাটনের , তা আস্তে আস্তে তাদের কাছ থেকেও চ্যালেঞ্জটা অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে , এসব বিপ্লবী নামধারী ছাত্রদের দুর্নীতির অযাচিত স্বেচ্ছাচারিতার কারণে, বাংলাদেশের দুর্নীতি নামক ব্যাপারটা একটা নরমাল বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, দেখা গেছে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল সেক্টরের মানুষজন ভালো মানুষীর লেবাসে, টকশো এবং বিভিন্ন জায়গায় ভালো ভালো কথা বলার মাধ্যমে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার যে অপচেষ্টা, সত্যিকার অর্থে আমরা সবাই খারাপ,
আমার নেতা জনাব তারেক রহমানকে পরামর্শ বা বুদ্ধি
দেওয়ার মত ক্ষমতা আমার নেই, তবে উনি যেভাবে উচ্চ কক্ষ নিয়ে ব্যতি ব্যস্ত, এর ভিতর থেকে নির্ন্মোকক্ষের , নিম্ন---ও মধ্যবিত্তের অবস্থা কি হবে তা বুঝা বড় দায় ! ৩১ দফা সময়োপযোগী অত্যন্ত বস্তুুনিষ্ঠা, কিন্তু এই দফা গুলো বাস্তবায়ন করা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে এই ৩১ দফা এক সময় সাধারণ মানুষের কাছে হাস্যকর হিসেবে পরিগণিত হবে,আমলাতান্ত্রিক জটিলতা , দুর্নীতি, যেখানে সমস্ত পরতে পরতে রাহু গ্রাসে আবদ্ধ , সেখানে ৩১ দফা বাস্তবায়ন একটা অভিলাষ মাত্র আমার কাছে !!! উনার যে উচ্চকক্ষ এলিট শ্রেণি , রাজনৈতিক গুষ্টিবাদী এলিট শ্রেণী , রাজনৈতিক সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট , জনাব তারেক রহমানের কিছু ভালবাসার চারিপাশের মানুষ, এদের প্রত্যেকের হাত থেকে রাজনীতিকে এবং দেশকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দুর্নীতিমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয় !!! যদি তিনি ( জনাব তারেক রহমান) এগুলোকে উত্তরিয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারেন ,উনি অভিসাংবাদিত নেতায় পরিণত হবেন বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে !!! তবে চ্যালেঞ্জটা অনেক বড় , এবং অনেকটা অসম্ভব মনে হয় বাংলাদেশী রাজনৈতিক কালচারে, সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে হলে একেবারে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিম্নকক্ষ গঠন করা খুবই জরুরী, নিম্ন কক্ষ হচ্ছে গরিব ও মধ্যবিত্ত , স্বল্প শিক্ষিত, খেটে খাওয়া একেবারে সৎ যোগ্য মানুষদের সমন্বয়ে, এবং তাদের সমন্বয়ে উচ্চকক্ষ এবং রাজনৈতিক সংস্কার করা উচিত, তাদের বাস্তববাদী , দুঃখ দুর্দশা ও বাস্তবতার নিরিখে এবং তাদের সাজেশন অনুযায়ী বাংলাদেশ শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা হওয়া উচিত , উচ্চকক্ষ বা তথাকথিত এলিট শ্রেণীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা, আপাতদৃষ্টিতে অনেক সময় তাদের বুঝা যায় না, বুঝতে পারা যায় না , তারা যে কত দুর্নীতিবাজ !!! কিন্তু একটু তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখলে তাদের প্রতি আপনি সবই বুঝতে পারবেন !!! তাদের অহংকার, তাহাদের আহমিকা, নির্ন্ম - ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতি তাদের বৈষম্য , সর্বপরি দুর্নীতি !!! আপাতদৃষ্টিতে তারা ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানে না ! Mind it. সমাজের জনদরদী , আরো কত কি !!!
তবে আমরা আশাবাদী হতে চাই , শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান, আপসহীন নেত্রী জানাবা বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান জানার তারক রহমানের দূরদৃষ্টি ,বিচক্ষণতা তার মাধ্যমে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার, একটা সুগঠিত সুন্দর অর্থনীতিক, সমৃদ্ধশালী, দুর্নীতিমুক্ত, জাস্টিস ও সুশাসনের দেশে পরিণত করার উনার সত্যনিষ্ঠ প্রচেষ্টার |
ইনশাআল্লাহ সে প্রত্যাশায় রইলাম |