সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে দেশে বিশাল এক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণ হানির ঘটনা সংগঠিত হয়। এই সহিংসতার স্বীকার হন শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম,দলীয় কর্মী কিংবা নেতৃবৃন্দ এবং ধ্বংসযজ্ঞ হয় দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এমন ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী।
(২৬ জুলাই-২০২৪ইং) শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ আলী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ কার্যকলাপ সংগঠিত হয়েছে, তা কখনও শিক্ষার্থীদের দ্বারা সম্ভব নয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের পিছনে দেশবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
দেশের মানুষের কল্যাণে সুফল বয়ে আনা দৃশ্যমান উন্নয়ন স্থাপনা এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উপর জ্বালাপোড়াও এটি কোন সাধারণ ঘটনা নয়। নিঃস্বন্ধেহ এটি পরিকল্পিত দেশবিরোধী গোষ্ঠীর কাজ।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন,এমন ঘটনায় জনমনে যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনা করে সরকার কারফিউ জারি করার মাধ্যমে জনমনে স্বস্তি ফিরে আনতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এমন বর্বরতা এবং সহিংসতায় দেশে যে প্রাণহানি ঘটেছে তা দেশের নাগরিক হিসেবে কখনও কাম্য করি না। তাই এই ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্যে রেখে যাতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করে সেটা প্রত্যাশা করেন তিনি এবং বর্তমান সহিংসতার সাথে যে বা যাহারা যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে।
কোটা সংস্কার বিষয়ে সাধারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার মেনে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাকেও স্বাগত জনান ও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। এবং অচিরেই এই সংকট কেটে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা আগের অবস্থানে অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে আসার বিষয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।