তোষাদ রায়হান:
একসময় চীনে প্রায়ই হুয়াংহো নদী সবকিছু বন্যায় ভাসিয়ে দিত বলে এই নদীর নাম ছিল “চিনের দুঃখ”। ইতিহাসে ছাব্বিশবার এই নদীর গতিপথ বদল হয়েছে অতি প্রচন্ডভাবে। এর ফলে প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দুঃখদুদর্শা।আর চট্টগ্রামের নিকটবর্তী উপজেলা পটিয়ার নাইখাইন এবং উজিরপুর এলাকার মধ্যবর্তী স্থান চট্টগ্রাম কক্সবাজারের প্রধান সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিষ্কুট ও মিষ্টান্ন ফ্যাক্টরি ফুলকলি।নামে ফুলের কলির সৌরভ ছড়ানোর কথা থাকলেও উল্টো ফুলকলির ছড়িয়ে পড়া বর্জ্যের গন্ধে অতিষ্ঠ পটিয়াবাসি।সরেজমিনে দেখা যায় ফুল কলির বর্জ্য সরাসরি সাজেন্ট মহিউদ্দিন খালে পতিত হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।এতে ফ্যাক্টরির পাশে থাকা ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ও কয়েক গ্রামের লোকজন চরম বিপাকে পড়েছে।খালের পানির গন্ধে নি:শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি এলাকাবাসী ফুলকলির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছে।তারা দাবি জানান ফুলকলির গন্ধে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে,তারা ময়লা পানি শোধন করে খালে ফেলার জন্য ফুলকলির নিকট দাবি জানান।উল্লেখ্য ফুলকলিতে পানি শোধানাগার থাকলেও খরচ বাঁচানোর জন্য তারা তা বন্ধ রাখেন এবং অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলে দেন। তাই গন্ধ ছাড়িদিকে ছড়িয়ে পরেছে।অন্য দিকে বর্জ্যের সুব্যবস্থা না নিলে ফুলকলির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুমকি ও ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন এলাকাবাসী
Leave a Reply