1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সিএমপি কমিশনারের ‘ওপেন হাউজ ডে’-তে সেবা নিলেন সেবাপ্রত্যাশী। নৌবাহিনীর জাহাজে দেশে ফিরল মায়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিক। ইউনিক ফাউন্ডেশন’র কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত পটিয়াতে বর্ষবরণ উৎসব হাজারো মানুষের ঢল উৎসবমুখর বোয়ালখালী: নববর্ষে প্রশাসনের বর্ণিল আয়োজন নববর্ষ ১৪৩২: বোয়ালখালীতে বলি, গানে, নৃত্যে প্রাণের উৎসব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ আনোয়ারায় ট্রাক-অটোরিক্সা সংঘর্ষে নিহত ১,যুবক আহত মুদি দোকানের আড়ালে মাদকের রমরমা ব্যবসা, ৯৪৯ পিস ইয়াবাসহ আটক দুই সহোদর

ইসলামী ঐতিহ্য পবিএ মহররমের গুরুত্ব তাৎপর্ষ। হাফেজ মাঈনুদ্দীন মালেকি

  • সময় রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ১০১ পঠিত

মহররম আরবী শব্দ, যার অর্থ সম্মানিত।ও পবিএ। ইসলামের ইতিহাসে এই মাসের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এই মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) সম্মানিত’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)। হাদিসে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলা হয়েছে (তাফসিরে মাজহারি)।

মহানবী (সা.)–এর হিজরতের বছরকে প্রথম বছর ধরে হজরত উমর (রা.)–এর খিলাফতকালে ইসলামি সন গণনার সূচনা হয়। হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ তাহজিব তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যগতভাবে সম্পৃক্ত। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধিবিধান ও ইবাদত–বন্দেগি চান্দ্র তারিখের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আরবি তারিখ চর্চায় রাখার জন্য হিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন প্রিয় নবীজি (সা.)–এর হিজরতের বিরহ–বিচ্ছেদ যন্ত্রণাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, নবীপ্রেমে উজ্জীবিত করে।
আশুরা অর্থ দশম তারিখ। ইসলামি পরিভাষায় মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এটা প্রতিটি মুসলিম জাতির জন্য পবিত্র। আশুরা ইসলামের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন। সৃষ্টির শুরু থেকে ১০ মহররম তথা আশুরার দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)–কে সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে নুহ (আ.)–এর প্লাবন সমাপ্ত হয়। এদিন ইব্রাহিম (আ.) জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ৪০ দিন পর নিরাপদে মুক্তি পান। এদিন ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এই দিনে আইয়ুব (আ.) রোগমুক্তি লাভ করেন। এই দিনে সুলায়মান (আ.) তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পান। এই দিনে ইয়াকুব (আ.) হারানো পুত্র ইউসুফ (আ.)–কে ৪০ বছর পর ফিরে পান। এই দিনে ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন এবং এদিনেই তাঁকে দুনিয়া থেকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়। আশুরার দিনে আরও বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল।
আগে মুসলমানদের জন্য আশুরার রোজা ফরজ ছিল। দ্বিতীয় হিজরিতে শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ হলে আশুরার রোজা সুন্নত হয়ে যায়। তবে সুন্নত রোজার মধ্যে আশুরার রোজা সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ। (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)

প্রিয় নবী (সা.) হিজরতের পর মদিনায় এসে দেখতে পান, ইহুদিরাও এদিন রোজা রাখছে। এর কারণ জানতে পারলেন, এই দিনে মুসা (আ.) তাওরাত কিতাব লাভ করেন। এ দিনেই তিনি বনি ইসরায়েলকে ফিরাউনের কবল থেকে উদ্ধার করে নীলনদ অতিক্রম করেন এবং ফিরাউনের সলিলসমাধি ঘটে; তাই তারা এদিন রোজা রাখে। নবী (সা.) বললেন, ‘আমরা মুসার অধিক আপন, তোমরা ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো, আশুরার এক দিন আগে বা এক দিন পরেও রোজা রাখো।’ (মুসনাদে আহমাদ, মুসলিম ও আবু দাউদ)

আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর নিকট আমি আশাবাদী, তিনি পূর্বের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারের ব্যয় বৃদ্ধি করবে, ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করবে; আল্লাহ সারা বছর তার প্রাচুর্য বাড়িয়ে দেবেন।’ হজরত সুফিয়ান সাওরি তাবিয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমরা এটি পরীক্ষা করেছি এবং যথার্থতা পেয়েছি।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চারটি কাজ কখনো পরিত্যাগ করেননি। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, আইয়ামে বিদের (প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা, ফজর ওয়াক্তে ফরজের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামা

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট