মোহাম্মদ আলবিন (চট্টগ্রাম)আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাধীন ৭নং সদর ইউনিয়ন পরিষদে গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে পরিষদে এসে তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান পরিষদের গ্রাম পুলিশ মো. বাবুল (৪৯)। পরে বিষয়টি পরিষদ সদস্য এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হা-মীম আহমেদ জানান, “চোরের দল পরিষদের সার্ভার রুমের তালা ভেঙে কম্পিউটার মনিটর (২টি), সিপিউ, হার্ডডিস্ক, চেকবই, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং গতকাল সংগৃহীত ওয়ারিশ ও ট্রেড লাইসেন্স ফি’র টাকা এবং কিছু ডিভিডি চুরি করে নিয়ে গেছে।”
এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা, অতীতের গোপন তথ্য লোপাট করার জন্য এই চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।তা না হলে শুধুমাত্র কম্পিউটার এর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি গুলোই কেন চুরি হবে? যদি সত্যিই এটি সাধারণ চুরি হতো তাহলে পরিষদে আরো অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র থাকা স্বত্বেও শুধুমাত্র এগুলো কেন চুরি হবে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন বাসিন্দা জানান, সদ্য সাবেক হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। এমনও হতে পারে তিনি কারো মাধ্যমে তার অপকর্ম লোপাট করার জন্য এই চুরি সংঘটিত করাতে পারে। এটাতে অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদে চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে পুলিশের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এই ইউপি পরিষদের দায়িত্বে থাকা আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, এই পরিষদে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরো জানান, উপজেলার সকল ইউপি পরিষদের নিরাপত্তার জন্য খুব তাড়াতাড়ি সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।