1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

অজিদের বিপক্ষে টাইগারদের টি২০ সিরিজ জয়

  • সময় শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৬৬৫ পঠিত

শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। সিরিজ জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদেরই। বল হাতে তাই করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান। তাতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন হয় অজিদের। শেখ মেহেদী হাসান বল করতে এসে প্রথমে ছয় দিলেও পরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাতেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১১৭ তোলে সফরকারীরা। ১০ রানের জয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে এসে শুরুটা খুব ভালো হয়নি সফরকারী অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের। মাত্র আট রানের মাথা তাকে ফেরান নাসুম আহমেদ। তিনে আসা মিচেল মার্শ ও ওপেনার বেন মেকডরমোটের দারুণ জুটিতে শুভ সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। এই যুগলের জুটি ভাঙার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন শরিফুল ইসলাম।

দলীয় ৬৮ রানের মাথায় মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ তোলেন ৩৫ রানে অপরাজিত মার্শ। কিন্তু সহজ ক্যাচটি ধরেও ফেলে দিলেন শরিফুল। তাতেই অজিদের চাপে ফেলার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। যদিও পরের ওভারে এসে মেকডরমোটকে ফেরিয়ে ৬৩ রানের এই জুটি ভাঙেন সাকিব। পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান মইসেস হ্যানরিকসকে ফিরিয়ে অজিদের চাপে ফেলেন শরিফুল।

৩৫ রানে জীবন পেয়ে অর্ধশতক তুলে নেন মার্শ। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি পেসার শরিফুল। যাকে জীবন দিয়েছিলেন তাকেই শিকার করলেন তিনি। ৪৭ বলে ৫১ রান করে ফেরেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। মার্শের বিদায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় টাইগাররা।

শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। সিরিজ জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদেরই। বল হাতে তাই করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান। তাতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন হয় অজিদের। শেখ মেহেদী হাসান বল করতে এসে প্রথমে ছয় দিলেও পরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাতেই ১০ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।

এর আগে শুরুটা ভালো হয়নি দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখের। চলতি সিরিজে বরাবরের মতো আজও দু’জনই দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হন। মাত্র তিন রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিবকে ফিরিয়ে এই যুগলের ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ২৬ রান করেন সাকিব।

চতুর্থ উইকেটের জুটিতে রিয়াদের সঙ্গে দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আশা জাগানো ব্যাট করছিলেন গত ম্যাচে দলকে জেতানো এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে দাঁড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারি। ৮ বলে মাত্র তিন করে ফেরেন তিনি।

দলের বিপদের সময় মাঠে এসে আশার আলো জাগান নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু আফিফের মতো রানআউটের শিকার হন তিনি। ৫ বলে ১১ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। একপাশে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকলেও অন্যপাশ আগলে রাখেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শেষের দিকে শেখ মেহেদী হাসানকে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন রিয়াদ। এরপরই এলিসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পরের বলে মুস্তাফিজকে ফেরান তিনি। শেষ বলে মেহেদীকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক গড়েন এই পেসার। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট